কাপড় সাধারণত তুলা বা পলিয়েস্টার থেকে তৈরি হয়। কিন্তু এখন কাপড় তৈরির সূতা আসে আনারস, দুধ, চুল, ছত্রাক বা এমনকি সমুদ্র থেকেও!
টেক্সটাইল দুনিয়ায় এখন একের পর এক পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উপায়ে বিকল্প ফাইবার তৈরি হচ্ছে, যেগুলো থেকে তৈরি হচ্ছে সূতা। আর সেই সুতাই রূপ নেয় কাপড়ে।
১. আনারস পাতার ফাইবার (PALF – Pineapple Leaf Fiber)
উৎস: আনারস কাটার পর ফেলে দেওয়া পাতাগুলো।
প্রক্রিয়া:
পাতাগুলো প্রথমে সংগ্রহ করে একটি মেশিনে দেওয়া হয়, যেটাকে বলে ডেকরটিকেটর মেশিন। এই মেশিন পাতার ভেতর থেকে সেলুলোজ ফাইবার আলাদা করে। তারপর এই ফাইবারগুলো ভালোভাবে ধুয়ে শুকানো হয়। এরপর সেগুলো স্পিনিং মেশিনে প্রসেস করে সুতা বানানো হয়, যা দিয়ে টেকসই কাপড় তৈরি হয়।
২. দুধের প্রোটিন থেকে কাপড় (Milk Fiber)
উৎস: দুধের প্রধান প্রোটিন Casein
প্রক্রিয়া:
প্রথমে দুধ থেকে কেসিন আলাদা করা হয় একধরনের এসিড ও এনজাইম দিয়ে। এরপর এই কেসিনকে বিভিন্ন কেমিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরল অবস্থায় এনে একটি স্পিনিং যন্ত্রে পাঠানো হয়। সেই তরল কেসিনকে সুতা আকারে বের করে শুকিয়ে নেওয়া হয়।
৩. মানুষের চুল থেকে তৈরি ফাইবার (Keratin-based Biofiber)
উৎস: মানুষের পড়ে যাওয়া চুল।
প্রক্রিয়া:
চুলে থাকা প্রোটিন কেরাটিনকে বিশেষ কেমিক্যালের মাধ্যমে চুল থেকে আলাদা করা হয়। এরপর এই কেরাটিন শুকিয়ে গুঁড়া করা হয়। তারপর ন্যানো প্রযুক্তির সাহায্যে এটিকে বায়োকম্পোজিট ফাইবারে রূপ দেওয়া হয়, যা দিয়ে তৈরি হয় একধরনের টেকসই ও পরিবেশবান্ধব সুতা।
৪. ছত্রাক দিয়ে তৈরি Vegan Leather (Mycelium Leather)
উৎস: ছত্রাকের নিচের অংশ, যাকে বলে Mycelium
প্রক্রিয়া:
নির্দিষ্ট আর্দ্রতা, আলো ও তাপমাত্রায় ছত্রাকের মাইসেলিয়ামকে কৃত্রিমভাবে বড় করে তোলা হয়। তারপর এই ঘন জালাকৃতির মাইসেলিয়ামকে সংগ্রহ করে চামড়ার মতো টেক্সচারে রূপান্তর করা হয় প্রেসিং, ড্রাইং ও কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে। এর ফলে তৈরি হয় ভেগান লেদার।
Writer:Riad Ahmed
Junior member of TEC
Pabna Textile Engineering college

(Feed generated with FetchRSS)




